Sunday, August 7, 2022

★#বিয়েরপরঝগড়াবন্ধহোক★

 

★#বিয়েরপরঝগড়াবন্ধহোক★

লেখাটি আমাদের জন্য খুব জরুরি সময় না থাকলে শিয়ার করে আপনার টাইম লাইনে রাখুন পরে পড়বেন।

★বিয়ের পরে অধীক অংশ বাড়িতে ঝগড়া হওয়ার কারন কি? 

ও তার সমাধান কি ? 

আসুন এই বিষয় নিয়ে কিছু আলোচনা করা যাক,

(বেশি ভাগ মায়েরা দরদিনী হয়)

ঝগড়া হওয়ার দুটো কারন.আরও আছে সেগুলো ধরায় আসেনা,

১-সকালে ঘুম থেকে লেটে ওঠা

২-কাজ ঠিক মত না করা

আর এই ২ টা কারন এর ভিতরে জড়িয়ে আছে শিক্ষা, 

আমাদের মা চাচিরা বেশির ভাগ ছিল অশিক্ষীতা

এখন আমাদের বোন ভাবিরা শিক্ষীতা  বেশি,

সাভাবিক আমরা দেখি একটা মেয়ের জিবন শুরু হয় লেখা পড়া দিয়ে,

আর লেখাপড়া শেষ হওয়ার কারন হয়ে দাঁড়ায় বিয়ে,

 সারা দিনে একটা মেয়ের কাজ হল ঘুম থেকে উঠে  মুখ হা ত পা ধুয়ে 

চা পানি খেয়ে প্রাইভেট পড়তে যাওয়া,

প্রাইভেট থেকে এসে গোসল খওয়া দাওয়া স্কুলের ড্রেস করতে করতে হয়ে যায় স্কুল এর সময়, সে চলে গেল স্কুলে,

স্কুল থেকে  বাড়িতে এসে ড্রেস পাল্টাতে আর খেতে হয়ে যায় প্রায় সন্ধ্যা, ওই সময় কোন মা চায়না মেয়েকে দিয়ে কাজ করাতে,আমরা দেখেছি বাবা যদি বলে মা কে, তুমি   ক্লান্ত মেয়েকে দিয়ে কাজ গুলো করিয়ে নাও, মা কে জবাবে বলতে দেখেছি, থাক আমি করছি, ও এক্ষুনি স্কুল থেকে বাড়িতে এসেছে,

আবার কদিন পরেই তো যাবে পরের বাড়ি, 

সেখানে গিয়ে করবে আবার এখানে করবে? 

সন্ধ্যার পরে আবার পড়া,পরিক্ষা থাকলে রাত জেগে পড়া,

বাবা সকালে ডাকলে মা বলে রাতজেগে পড়েছে, 

প্রাইভেট এর সময় হলে ডেকে দেবো। 

সাভাবিক যারা কাজ না করে তাদের ভিতরে প্রবেশ করে অলসতা, 

যারা মাঠে কাজ করে তাদের কাছে কষ্টকর কাজ বলে মনে না  হলেও,

 আমাদের কাছে কিন্তু বিরাট কষ্টের কাজ বলে মনে হয়। 

এক কথায় আমরা যে কাজে অভ্যাস্ত নয়, 

সেই কাজ আমাদের পক্ষে সম্ভব করতে গেলে কিছু সময় কাজ আর কিছু সময় আরাম বিশ্রাম এর ভিতর দিয়েই সম্ভাবপর,

মেয়েদের কাজে অভ্যাস্ত করার সময়ে বাধা দেয় তার মা।

বিয়ের পর তার উপরে পড়ে সংসার এর কাজের দায়ভার,

সকালে ঘুম থেকে উঠতে লেট হলে তখন কোন শ্বশুর তথা ছেলের পিতাজী তা কখনো সইতে পারেনা, 

তখন বলতে থাকে বৌ মানুষ এখনো কেন ঘুমাবে ? সে যখন কাজ করতে যায় তার কষ্টের কারনে একটু কাজ করে আর একটু বিশ্রাম করে,

সেটাই হয় ঝগড়া হওয়ার মুল কারন। কেউ যদি বলে তোমাদের বউমা কেমন হয়েছে, মায়েরা জবাবে বলে, আর বলোনা, লাট সাহেবের মেয়ে বেলা দশটা না বাজলে ওঠেনা।  

আর সারাদিন সুধু শুয়ে শুয়ে কটাই,

যখনই শাশুড়ি কিছু বলে তখন হয় ঝগড়া,

মাদ্রাসার মেয়েদের ঘুম থেকে ওঠা ওভ্যাস থাকলেও, 

কাজের ওভ্যাস থাকেনা।

পিতা মাতার চিন্তা, লেখা পড়া বেশি করিয়ে ভালো ঘরে বিয়ে দেবার।

চার আঙ্গুল সেলাই করতে গিয়ে এক হাত ফাড়ার মত আর কি, আগের মানুষ লেখাপড়া জানতো বেসির ভাগ চার পাঁচ ক্লাস, আর বাকি টাইম টা কাজের ভিতরে কাটিয়ে দিতো। 

তাই ঝগড়া ও কম হতো। 

এখনো  যারা আমার মত  বিয়ে করেন নি, তাদের কাছে আমার দাবি বিয়ের আগে মেয়ের বাপের বাড়ি এক দুই অথবা  তিন মাস স্ত্রী কে থাকার অনুমতি নিন। 

বিয়ের পর শাশুড়ী কে বলুন যে সংসারে যাবতীয় কাজ আপনার মেয়েকে দিয়ে করান। 

আপনি কোন কাজ করবেন না,

সকালে আজান এর সময় আপনি ফোন করে তাকে জাগিয়ে দিন, একটু কাজ করবে আর একটু আরাম করবে এই ভাবে তাকে তৈরি করে নিন।

আপনার বাড়ি থেকে হয়তো বলতে পারে বিয়ে করে বৌ কেন বাপের বাড়ি থাকবে?  আপনি বাড়িতে বোঝান। 

এতো দিন তো চলেছে, আর কটা দিন চালিয়ে নাও বাপের বাড়ি রাখার ফল পরে পাবে এই বলে কাটিয়ে দিন। 

যদি বাড়িতে এনে ওভ্যাস করাতে যান,ঝগড়া হওয়ার সম্ভব আছে। দরকার হলে স্ত্রীর খরচা আপনি বহন করুন।

প্রতিটি মায়ের কাছে আমার দাবি, 

যখন মেয়েরা স্কুল থেকে বাড়ী ফিরবে, তখনই তাদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিন। তাদের ওভ্যাস করান। 

আর যারা মাদ্রাসা তে পড়ছে, তারা যখন ছুটিতে বাড়িতে অ

আসবে তখন ওভ্যাস করান। 

এই সিস্টেম তথা নিয়ম যদি চালু করা যায়, তাহলে ঝগড়া বন্ধ হবে বলে আশা করা যায়,

ও হয়েছেও তাই। 

আপনাদের মতামত আশা করছি। 


No comments:

Post a Comment

thanks

Office

COPMUTER PATTERN MASTER